স্কুল বলতে আমরা বিদ্যালয় কে বুঝি। যা বিদ্যা এবং আলোর সন্ধি। বিদ্যালয় বললে কেমন জানি…
অলস দুপুর
খাঁ খাঁ রোদ।
আবদ্ধ দক্ষিনা জানালায় অজানা কিছু তৃপ্তি।
জানালার ঐ নীলরঙা পর্দাটা যেন বদ্ধ প্রকোষ্টের সূর্যদয়। জানালার পাশের অগোছালো টেবিল আজ একজনের পৃথিবী। কেউ শোনেনা যার আর্তচিৎকার। হৃদয়ের গভীরে কিছু কষ্টের আস্ফোলন মাঝে মাঝে জানালার ঐ সূর্যকেও হার মানাতে চায়।
এরি মাঝে হঠাৎ দক্ষিনা হাওয়ায় ভেসে আসে কিছু স্বপ্নের ধূলিকণা। কনায় কনায় জমাট বেধে দানায় পরিণত হয়। যা কিনা ব্যবহৃত হয় স্বপ্নডানার জ্বালানি হিসেবে। তাই স্বপ্নের পথে আর যাওয়া হয় না বহুদূর।
স্বপ্নের বুনন আর কষ্টের অনল সকলি একদিন অধিকার করবে মহাকাল। তবু স্বপ্নে মহাকাল কেন আসে না?
সজীব ধরণীর বুকে কত অপরাধ।
তবু চাঁদ তারে নাহি আলো দিতে ভোলে।
বৃক্ষরাজি সূর্যদেবকে নাহি দেয় আসন।
তবু সে বিশ্বময় করিছে শাসন।
দিয়াছে অন্ন বাঁচিবার স্বপন।
চাঁদের তত্ত্ব – কিছু দিতে না পারি, ভালোবেসে আলোকিত করতে পারি।
সূর্যের তত্ত্ব – অন্ধকার ঘোচাবো, অন্ন দিব তবু শাসন কখনো না ছাড়িব।
তবে সেই নীল জানালাকে সূর্যদেব কখনো শাসন করে নাই। জানালায় যখন দুটো চোখ সূর্যকে খুঁজে ফিরত তখন সূর্যদেব মেঘের দলকে বানিয়ে নিত তার ঢাল, রক্ষা করত নিজেকে। যেন কাত দু’চোখ না পারে কোন বায়না করতে।
আবার যখন সুর্যদেবের মায়া হত, আলো দিতে চাইত ঐ নীল জানালায়, অভিমানী নীল পর্দা হয়ে উঠত প্রতিবাদী। আসে না আলো। ভাবনাগুলো ঘুরপাক খায় অন্ধকারে। সংকুচিত হতে থাকে ভাবনার পরিধি।
জানালার ঐ মানুষটার ভাবনার আর কোন পরিধি নেই।
কেন্দ্রেই আবদ্ধ সকল জ্ঞানশক্তি।
পাঠশালা তার অন্তর আত্মা।
মানব ধর্মে প্রান।
এ এক অন্য পৃথিবী। যেখানে নেই কোন কষ্টের আলমারি। আছে শুধু সুখের ফুলঝুড়ি।।
This Post Has 0 Comments