স্কুল বলতে আমরা বিদ্যালয় কে বুঝি। যা বিদ্যা এবং আলোর সন্ধি। বিদ্যালয় বললে কেমন জানি…
গন্তব্য
অনেকদিন অবসর হয় না। জানালার পাশেও বসা হয় না। আজ বৈশাখী বৃষ্টি ব্যস্ত ধরণীর কোন এক কোনা থেকে যেন অবসর বয়ে নিয়ে এসেছে। হয়তো ইচ্ছা বহির্ভূত।
জানালা দিয়ে তাকিয়ে থাকতে থাকতে হঠাৎ খেয়াল করলাম বৃষ্টির ফোঁটাগুলো চাতালের পলেস্তারে সজোরে আছড়ে পড়ে আবার ছিটকে ফিরে যেতে চাইছে। কিন্তু শেষ পরিণতিতে তারা মিশে যাচ্ছে একে অপরের সাথে।
বৃষ্টি যদিও ঐ পলেস্তারের কাছে যেতে চায় না কিন্তু নিয়তি তাকে সেখানেই পৌঁছে দেয়। ব্যার্থ হয় ফিরে যাবার প্রচেষ্টা। হতে হয় বাধ্য।
আমাদের কিছু মানুষের জীবনের গতি এরকমি। যেখানে যেতে চাই না, মিশতে চাই না, তবুও বারবার আছড়ে পরি সেই সব জায়গায়। চাইলেও আর পারিনা ফিরতে। ঠিক যেন বৃষ্টির ফোঁটার মতো। বৃষ্টির ফোঁটাগুলি যখন শুন্য হতে চাতালের পলেস্তারের পানে ধাবিত হয় তার পর আর তার গতিপথ পরিবর্তন করা যায় না।
তবে একটা উপায় তো আছেই। যদি কোন দমকা হাওয়া আসে তাহলে হয়তো ঐ বৃষ্টিফোঁটার গন্তব্য বদলেও যেতে পারে।
তাই আজ অপেক্ষারত হয়ে আছি। কবে একটা দমকা হাওয়া এসে বদলে দিবে জীবনের গতি। দমকা হাওয়া জানি আসবে না। তাই অনাকাঙ্ক্ষিত গন্তব্যগুলোকে মেনে নেয়াই একমাত্র সুপথ। কিন্তু সেটা আত্মবিদ্রোহী।
This Post Has 0 Comments