স্কুল বলতে আমরা বিদ্যালয় কে বুঝি। যা বিদ্যা এবং আলোর সন্ধি। বিদ্যালয় বললে কেমন জানি…
আমরাই পারি
আমরা প্রায় প্রতিদিন বিকেলে কলেজের পিছনে বসে আড্ডা দেই। তো একদিন আড্ডা দিতে গিয়ে খাবার পানির প্রয়োজন পড়ে। পানি আনার মত আশেপাশে অনেক খোঁজাখুঁজির পর দুইটা ছেলেকে পাওয়া গেলো। বয়স আনুমানিক ১০-১১ হবে।
তাদেরকে ডাক দিয়ে বলাম বাসা কোথায়?
জানালো পাশেই…
বললাম একটু পানি খাওয়াতে পারবে? বাদাম খাওয়ার টাকা দিতাম??
আচ্ছা বলেই ছেলেদুটো চলে গেলো…
কিছুক্ষন পর তাদের একজন ফিরে এলো পানি নিয়ে।
– জিজ্ঞেস করলাম, তোমার সাথের আর একজন কই?
– হেয় আইবোনা, হেয় কয় পানি খিলামু না!!
– তাহলে তুমি পানি নিয়ে আসলে কেন? বাদাম খাওয়া টাকার জন্য??
– নাহ! টাহা ত বাইচ্চা থাকলে পাওয়াই যাইব।
– তাহলে??
-পানি খাওয়ানো সবাব।।
বুঝলাম পানি খাওয়ানো পুন্যের কাজ।
তারপর ওর হাতে কিছু টাকা গুজিয়ে দিয়ে বললাম, দূরে থেকে আমাদের দেখলেই চলে আসবা কেমন? আজ তাহলে যাও।
পরের দিন…
আগের দিনের ফাঁকিবাজ ছেলেটা চলে এসেছে।
বলতে পারেন, গতকাল যে ছেলেটা পানি খাওয়াবে না বলে পালিয়েছিল, আজ সে কেন এসেছে??
উত্তর একটাই, স্বার্থসিদ্ধি।
এটা একটা স্বাভাবিক ঘটনা।
কিন্তু এর নেপথ্যে রয়েছে আমাদের সাহিত্য, সংস্কৃতি, সভ্যতা, কালচার।
এই দুটো ছেলের মতভেদ তৈরি করে দিয়েছে আমাদের সমাজ।
কেউ শিখেছে মুক্তির পথ, আর কেউ ধ্বংস।
আমাদের দেশের নিম্নবিত্ত্ব থেকে নিম্নমধ্যবিত্ত্ব দরিদ্র পরিবারগুলোর জ্ঞানের গন্ডি অনেক সংকীর্ন হয়। অনেকটা কুয়োর ব্যাঙের আকাশ দেখার মত।।
আমরা কেন পারিনা তাদের কাছে আলো পৌঁছে দিতে? আমরা কেন পারিনা তাদেরকে আলোর পথে ফিরিয়ে আনতে??
আমরাই পারি সকল ভেদাভেদ ভুলে সবাই হাতে হাত রেখে আলোর পথে চলতে।।
This Post Has 0 Comments