Skip to content

পাশে থাকার গল্প

– আচ্ছা তুমি সিগারেট খাও কেন?
– না, এমনিতে।

– না কেন খাও?
– আসলে জানিনা কেন খাই। জানলে হয়তো খাইতাম না।

– তুমি তো জানো যে ওইটা খাওয়া খারাপ।
– জানি।

– বাদ দিতে তো পারবেনা। তো কয়টা খাও দিনে?
– এইতো ৫-৬টা। আর বন্ধুদের সাথে থাকলে একটু বেশিই হয়।

– ওদের সাথে মেশো কেন?
– ওরা তো বন্ধু। ওদের সাথে মিশবোনা কেন?

– যা খুশি করো যাও।
– রাগ করো কেন?

– আমি রাগ করিনি।
– আচ্ছা শোনো… আমি তো বেশী খাই না। চল এক কাজ করি, তুমিও আমার সাথে সিগারেট খাওয়া শিখে নাও। একটা পুরা সিগারেট খেলে আমার মাথা ঘুরায়। তাই আমি অর্ধেক আমি খাবো আর বাকি অর্ধেক তুমি খাবা। আমি না হয় বেশিটুকুই খেলাম।!

– আমি কেন খাবো? আর ওইটা খাওয়া তো অনেক ক্ষতিকর।
– সে জন্যই তো খাবা।

– মানে?
– মানে… আমার সুখের সাথে যেমন দুঃখগুলোকেও ভাগ করে নিয়েছো, তেমনি আমার উপকারীর সাথে ক্ষতিকর দিকগুলোও শেয়ার করো। তাহলে তো আমার ক্ষতি একটু হলেও কম হতো। তুমি ক চাও না আমার ক্ষতি কম হোক?

– চাই বলেই তো বিপাকে আছি।
– তাহলে খাবে?! এনে দিবো?

– আমি আগে তিনদিন খেয়েছিলাম। কিন্তু খুব গন্ধ। খেতে খুব কষ্ট হবে।
– আমার জন্য করতে পারবে না?

– তোমার জন্য পারবনা এমন কোন কাজ আছে বলে তো আমি ভেবে পাইনা।
– আমাকে এত্তগুলা ভালোবাসো কেন?

– তুমিই তো আমার সব। তোমাকে ভালো না বেসে যাবো কই? যাও সিগারেট নিয়ে আস খাই।
– না থাক আর সিগারেট খেতে হবে না। আমার ক্ষতি আমার মাঝেই থাক। আমি তোমাকে কোনদিনও কষ্ট দিতে চাই না।

– নিজেকে কেন কষ্ট দাও? তুমি কষ্ট পেলে যে আমিও কষ্ট পাই।
– কষ্ট পেয়ো না। আমি যত কষ্ট পাই না কেন যথেষ্ট চেষ্টা করবো সারাজীবন তোমাকে সুখি করতে। আই লাভ ইউ সো মাচ জান।
– হুম, আই ঠু।

এভাবেই চলতে থাকে কিছু নিজেকে উৎসর্গ করা কিছু প্রেমের গল্প। যারা সর্বদা একজন চায় অন্যজনের মত হতে। তাই এসব প্রেম টিকে থাকে অমর হয়ে।

This Post Has 0 Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back To Top