Skip to content

অনুশোচনার দীপ্ত প্রহরে

আমি যখন গিয়েছি জলে, তোমরা হেসেছিলে; জল শুকাতে পারো নাই।
কালো মেঘ কেঁদেছে বলে, ঘরবন্দী করেছিলে; প্রাণভরে ভিজতে দাও নাই।
কদম গাছটা নেই বলে, তোমরা অনত্র বসেছিলে; ছায়া বাঁচাতে পারো নাই।
আধার রাত্রি নেমেছে বলে, আলো জ্বেলেছিলে; সূর্যকে রাখতে পারো নাই।
সুগন্ধা ভুল করেছে বলে, বনবাসি করেছিলে; ভালোবাসতে পারো নাই।
দস্যি ছেলের পা কেটেছে বলে, খুব বকেছিলে; সহানুভূতি দাও নাই।
গুল্মলতা শুকিয়ে গেছে বলে, উপড়ে ফেলেছিলে; জল দিতে পারো নাই।
সংসারে বাস করি বলে, দায় চাপিয়েছিলে; মুক্তি দিতে পারো নাই।

শকুনে যখন মৃত মাংস খায়, মানুষের তাতে কী আসে যায়।
চাঁদে যতই কলংক দেখায়, জোছনায় নাহি দাগ পাওয়া যায়।
সূর্যি মামা অতি তপ্ত সাজায়, তারে ছাড়া কি জগত ভাবা যায়।
হিংস্র বাঘে মানুষ খায়, মানুষে না বাঘের ক্ষুধা বুঝিতে পায়।
দুষ্ট লোকে মিষ্টি বাণী দেয়, কর্মে নাকি তার ত্রুটি নাহি হয়।
অনুশোচনার হয় না উদয়, জগত কখনো ভরে না আলোয়।

This Post Has 0 Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back To Top